সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭

শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭

সোলার প্যানেল সার্জিং সিষ্টেম

নিজেই তৈরী করুন স্বল্প খরচে সোলার চার্জিং সিষ্টেম

 

 27 টিউমেন্টস 42,203 দেখা 53 প্রিয়

ইলেক্ট্রনিক্স

বন্ধুরা অনেক সালাম প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার টেকটিউনস এ আমার প্রথম ব্লগ। ইলেকট্রনিক্স  সার্কিট তৈরী করা কারো হবি কারো হয়তো পেশা তবে সার্কিটের ডায়াগ্রাম দেখে সার্কিট তৈরী করতে কেউ হয়তো পারদশী আবার অনেকেই হয়তো একদম বুঝতেই পারেন না।

কখনো দেখা যায় কোন একটি সার্কিট আপনি তৈরী করলেন কিন্তু দেখা গেল একই সার্কিট বাজারে রেডিমেট অনেক কমদামে বিক্রি হচ্ছে। তাহলেতো মন খারাপ হবারই কথা। কথা গুলো শুনে হয়তো ভাবছেন আমি এধরনের কোন সার্কিট নিয়ে কথা বলবো। না ভাই, আপনাকে আশ্বস্থ করছি আমি যে সার্কিটের কথা বলতে যাচ্ছি সেটা নি:সন্দেহে আপনি বাজারের দামের চাইতে অনেক কমদামে তৈরী করতে পারবেন।

আজকাল বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার অবদানে আমরা নেহায়েত পল্লী এলাকায় সোলার পৌছাতে দেখছি সেখানে আলো জ্বলছে, ফ্যান ঘুরছে কিংবা কম্পিউটার চলছে। এর সবই হচ্ছে সোলার বা সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে।

আমাদের ইউনুস মার্কা এনজিও গুলো সোলার এর কেমন দাম নিচ্ছে সে প্রসংগে নাই বা গেলাম। কিন্তু নগদ টাকায় কিনে নিলে হয়তো এর চাইতে অনেক সাশ্রয়ী দামে কেনা সম্ভব।

এধরনের একটি সোলার সিষ্টেমে যা যা থাকে :

প্রয়োজনীয় সংখ্যক সোলার প্যানেলসোলার চার্জিং ইউনিট/চাজ কন্ট্রোলারপ্রয়োজনীয় অ্যাম্পিয়ারের যে কোন ধরনের রিচার্জেবল ব্যাটারীপ্রয়োজনীয় লোড (বাতি, ফ্যান ইত্যাদি)

আর যদি আপনি বিদ্যুৎ সংযোগ আছে এধরনের যায়গায় ইমার্জেন্সি লাইট জালাতে চান তাহলে অটো সুইচিং এ ব্যবস্থা করতে হবে। আমি আজ আপনাদের সামনে একটি সোলার ড্রাইভেন মিনি ইমার্জেন্সী লাইটের চার্জার ইউনিট (চার্জ কন্ট্রোলার) নিয়ে হাজির হয়েছি

সোলার ৬ভোল্ট, ৪.৫এ্যাম্পিয়ার ব্যাটারী চার্জ কন্ট্রোলার

আমরা বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের চার্জার সার্কিট ব্যবহার করে থাকি। যাতে করে কোন অবস্থাতেই ব্যাটারী ওভার চার্জড কিংবা ডিপলি ডিসচার্জ না হয়ে যায়। আর এরকম হলে আমাদের দামী রিচার্জেবল ব্যাটারী আয়ুস্কাল কমে যাবে। আর তাই ব্যাটারী আয়ুস্কাল ঠিক রাখতে একটি মানসম্মত ব্যাটারী চার্জার সার্কিটের কোন বিকল্প নেই।

আমি আজ আপনাদেরকে যে সার্কিট ডায়াগ্রামটি দিতে যাচ্ছি সেটি হয়তো কারো সংগ্রহে থাকতে পারে।

সার্কিটটিতে ১২ভোল্ট, ৫ওয়াট এর ১টি সোলার প্যানেল ব্যবহার করা হয়েছে। কেউ চাইলে প্যানেলের স্থলে ১২ভোল্টের ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করে এসি কারেন্ট থেকে চার্জ করতে পারবেন।

ব্যাটারী হিসেবে বাজারের বহুল প্রচলিত 6V 4.5Amp এর (SUNCA) ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়েছে। বাজারে এধরনের ব্যাটারী ৩২০টাকা থেকে ৩৫০টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়।  আর ভালো কোয়ালিটির (জার্মানীর তৈরী) সোলার প্যানেল ১০০টাকা ওয়াট হতে পারে  অর্থাৱ ৫ওয়াটের ১টি প্যানেলের দাম ৫০০টাকার মতো হবে চায়নার তৈরী হলে ৬৫ টাকা থেকে ৮৫/৯০টাকার মধ্যে প্রতি ওয়াটের দাম হবে। চাইনিজ সোলার প্যানেল গুলোর মান ততোটা ভালো নয় এগুলোর কারেন্ট সাপ্লাই কম তাছাড়া কম রোদে চার্জ হতে চায়না। সে তুলনায় জার্মানীর তৈরী  সোলার প্যানেলগুলো ঢের ভালো। এই চার্জার সার্কিটটিতে সয়ংক্রিয় ভোল্টেজ এবং কারেন্ট নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। বিদ্যুত সরবরাহের জন্য রয়েছে ১টি ১২ভোল্ট সোলার প্যানেল, ১২ভোল্ট প্যানেল সাহায্যে ৬ভোল্ট ব্যাটারী চার্জ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে LM317 ভোল্টেজ রেগুলেটর আইসি। সোলার প্যানেল থেকে প্রয়োজনীয় কারেন্ট D1 ডায়োড এরমধ্য দিয়ে রেগুলেটর আইসি’র ইনপুট এ আসবে যার আউটপুট কারেন্ট এবং ভোল্টেজ দুটোই নিয়ন্ত্রন করা LM317 এর এডজাষ্টিং পিন দ্বারা। ৬ভোল্টের ব্যাটারী চার্জ করার জন্য  LM317 এর আউটপুট ভোল্টেজ ৯ভোল্টে সীমিত  রাখতে হবে। তাই ভেরিয়েবল রিজিষ্টারটি LM317 এর এডজাষ্টিং পিন এবং গ্রাউন্ড/ নেগেটিভ প্রান্তের মধ্যে সংযোগ দেয়া হয়েছে। ব্যাটারী ডিসচার্জিং রোধ করার জন্য D2 ডায়োডটিব্যবহার করা হয়েছে। D2 এর আউটপুটে চার্জিং কারেন্ট নিয়ন্ত্রনের জন্য ১ওয়াটের ১০০ওহমস মানের  (R3) রেজিষ্টার ব্যবহার করা হয়েছে।

সার্কিটে ব্যবহৃত একমাত্র ট্রানজিষ্টর T1 এবং জেনার ডায়োডটি ZN কাট-অফ সুইচ  হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারনত ট্রানজিষ্টরটি বন্ধ থাকবে যাতে করে ব্যাটারী চার্জ হতে থাকবে। যখনই ব্যাটারীর দুই প্রান্তের ভোল্টেজ 6.8Volt এ পৌছে যাবে তখনি ZN জেনার ডায়োডটিট্রানজিষ্টরের বেস এ কারেন্ট সরবরাহ করবে। সাথে সাথে ট্রানজিষ্টরটি রেগুলেটরের আইসি’র আউটপুটকে গ্রাউন্ডিং করে চার্জিং বন্ধ করে দেবে। তাই কোন ভাবেই ব্যাটারীর ওভারচার্জড হবার সুযোগ নেই।

আশা করছি সার্কিটটি আপনাদের কাজে লাগবে। শুভকামনা করে আপনাদের গঠনমুলক মন্তব্যের অপেক্ষায় আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। 

সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭

দোতলা বাস =ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে রুটে

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে দ্বিতল বাস

 

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চালু হয়েছে বেসরকারি পরিবহন সংস্থা গ্রীন লাইন পরিবহনের আধুনিক মানের দ্বিতল বাস সার্ভিস। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দ্বিতল এ বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 
ভিডিও: মোস্তাফিজুর রহমান

বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৭

ভয় কি? জানতে হলে পড়তে হবে!

ভয় কী? ভয়কে জয় করার উপায় কী? ভবিষ্যতের অহেতুক ভয় হয়। আমিও জানি, যা ভয় করছি তা হবে না কিন্তু এই ভয় আমার বর্তমানকে নষ্ট করছে। কী করবো?

উত্তর : নেতিবাচক চিন্তার জননী হচ্ছে ভয়। ভয় এক অদৃশ্য ভূত। অনেকের জীবনেই ভয় তাড়া করে বেড়ায় ছায়ার মতো। এই ভয়ই হচ্ছে আমাদের ব্রেনকে বেশি বেশি কাজে লাগানোর পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়। ভয় যে কত ধরনের হতে পারে তার ইয়ত্তা নেই। রোগ ভয়, লোক ভয়, বার্ধক্যের ভয়, প্রিয়জন বিচ্ছেদের ভয়, নিরাপত্তার ভয়, ব্যর্থতার ভয়, দারিদ্রের ভয়, পোকা মাকড়ের ভয়, ভূতের ভয়, মৃত্যুভয় ইত্যাদি। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ভয়ের অবস্থান হচ্ছে আমাদের সচেতন মনে। আপনি যদি এই ভয়গুলো কাগজে-কলমে লিপিবদ্ধ করে ফেলেন, তাহলে এগুলোকে যথাযথভাবে শনাক্ত করতে পারবেন। পারবেন এগুলোর উৎস খুঁজে বের করতে। একবার যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করতে পারলে এগুলোর আকৃতি হবে লিখিত অক্ষরের সমান। তখন আপনি এ ভয়গুলোর বিরুদ্ধে সহজে পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। 

আমরা যদি আমাদের সচেতনতার সমুদ্রের গভীরে এই ভয়গুলোকে বিচরণ করতে দেই তাহলে আমাদের অজান্তেই এগুলো লালিতপালিত হয়ে নাদুস-নুদুস হয়ে উঠবে। এগুলোর হাত থেকে আমরা কখনো রেহাই পাবো না। গভীর সমুদ্রে অনেক বিশাল বিশাল প্রাণী বাস করে। এগুলোকে যদি কোনোভাবে সমুদ্রের তীরে নিয়ে আসা যায়, তাহলেই এদের মৃত্যু ঘটে। ভয়কেও একইভাবে মোকাবেলা করতে হবে। 

ভয় কখনো গভীর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের আলো সহ্য করতে পারে না। ভয় হচ্ছে অন্ধকারের কীট। আলোয় এলেই তা মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। আমাদের জীবনের সবচেয়ে বেশি সমস্যার কারণ হচ্ছে অনির্দিষ্ট ভয়। 

‘যদি এমন হয় তবে কি হবে’ এই আতঙ্কই আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। তাই আপনার আশঙ্কাকে কাগজে স্পষ্ট করে লিখে ফেলুন। লেখার পর জিজ্ঞেস করুন, এরপর কী হবে? সবচেয়ে খারাপটাই লিখুন। কাগজে বড় করে লিখুন। যাতে করে আপনি দেখতে পারেন। 

ভয়ের হাত থেকে বাঁচার সহজ পথ একটাই। তা হচ্ছে, ভয়ের কথা কাগজে লিখে তা পুড়িয়ে ফেলা। এভাবে আপনি পর্বতপ্রমাণ ভয়কেও নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারেন। কারণ অজানা বিষয় যখনই জানা হয়ে যায়, তখনই ভয় তার রহস্য ও শক্তি দুই-ই হারিয়ে ফেলে। 

যেমন, অন্ধকারে কাকতাড়ুয়া দেখেও আপনি ভূত ভেবে ভয় পেতে পারেন। কিন্তু একবার টর্চের আলো ফেলুন। ব্যস! সব শেষ। আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ভয়ের উৎস সামান্য খড়কুটো, বাঁশ আর একটা হাড়ি ও একটা ছেঁড়া-ফাটা জামা মাত্র। 

তাই ভয়কে মনের গহীনে বাস করতে দেবেন না, তাকে চোখের সামনে তুলে আনুন। কাগজে লিখে ফেলুন। অদৃশ্য দৈত্যকে দৃশ্যমান অক্ষরে পরিণত করুন। আর পুড়িয়ে ফেলুন অক্ষরগুলোকে। 

ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া বা ভয়কে কাবু করার আরেকটা পথ হচ্ছে ভয়কে নিয়ে ঠাট্টা করা। ভয়কে জয় করার জন্যে অবজ্ঞা ও অবহেলার চেয়ে সফল অস্ত্র আর কী হতে পারে! আপনি ক্ষমতা না দিলে আপনার ওপর ভয়ের কোনো ক্ষমতা থাকতে পারে না। যে কাজকে ভয় পান সাহস করে তা করে ফেলুন। ভয় সম্পর্কে আপনাকে মনে রাখতে হবে যে, কেউই ভয় থেকে মুক্ত নন। ভয় পান নি পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই। তবে যারা সফল, যারা বীর তারা ভয়কে মোকাবেলা করেছেন, ভয়কে নিয়ে উপহাস করেছেন, ভয়কে অতিক্রম করেছেন। তারা কখনো ভয়ের কাছে আত্মসমর্পণ করেন নি। 

আপনার জীবনেও অনেক পরিস্থিতি আসবে, যার মুখোমুখি হতে আপনি ভয় পান। হয়তো আপনি ইন্টারভিউ বোর্ডকে ভয় পান, নতুন লোকের সাথে আলাপ করতে ভয় পান, দাঁতের ডাক্তারের কাছে যেতে ভয় পান, ইনজেকশন নিতে ভয় পান, বিমানে চড়তে ভয় পান। ঠিক আছে। আপনার এ ভয় নিয়ে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। আপনি শুধু একে মোকাবেলা করুন। ভয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। যে কাজকে ভয় পাচ্ছেন, সাহস করে কাজটা করে ফেলুন। বিশ্বাস করুন! আপনি সরাসরি ভয়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে ভয় পালাবার পথ পাবে না। আবার এমনও হতে পারে-আপনি যে কাজকে ভয় পাচ্ছেন সাহস করে করার পর সে কাজেই অপার আনন্দ লাভ করতে পারেন। 

যেমন, আপনি বিমান ভ্রমণে ভয় পান। বিমানে কোনোদিন ওঠেন নি। সাহস করে উঠে পড়ুন বিমানে। যখন নিচের দিকে তাকাবেন, পৃথিবীকে যখন আকাশ থেকে দেখবেন তখনকার নতুন দৃষ্টি আপনাকে, আপনার উপলব্ধির ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করবে। 

দাঁতের ডাক্তারের কাছে সাহস করে প্রথমেই চলে যান। হয়তো তিনি আপনার দাঁত ফেলে না দিয়ে রেখে দেয়ার ব্যবস্থা করতে সক্ষম হতে পারেন। সাহস করে ইন্টারভিউ বোর্ডের সম্মুখীন হোন। আপনার চাকরি বা পদোন্নতির দরজা খোলার এটাই তো পথ। 

ব্যর্থতার ভয় আপনাকে পেয়ে বসেছে! এটা আপনাকে কাটাতে হবে। তা না হলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন না। সাধারণত দেখা গেছে, ব্যর্থ লোকরাই ব্যর্থতাকে ভয় পায়। কারণ তারা শুরু করতেই সাহস পায় না। আপনি সফল হবেন না বলে বিশ্বাস করলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন না। আর কাজ শুরু না করা এক গুরুতর অপরাধ। মনকে বলুন, সাফল্যের পথ কুসুমাস্তীর্ণ নয়, ব্যর্থতা অতিক্রমের মাধ্যমেই আসে সাফল্য। 

কাজ শুরু করুন। লক্ষ্য উঁচু রাখুন। কথায় বলে, সূর্যের দিকে তীর মারলে তা অন্তত বড় গাছের মগডালে গিয়ে লাগবে। তাছাড়া ব্যর্থতার চিন্তাকেও আপনি ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, একটি উদ্যোগে যদি আশাব্যঞ্জক ফল না পাওয়া যায় তাহলে এর বিকল্প কী পদক্ষেপ নেয়া যায় আগে থেকেই তা ঠিক করে রাখুন। তখন ভয় আপনার সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। 

ভয়কে জয় করার আরেকটি বড় অস্ত্র হচ্ছে ভান করা। ভান করুন, এমনভাবে অভিনয় করুন, যেন আপনার জীবনে ভয়ের কোনো অস্তিত্ব নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট অকপটে স্বীকার করেছেন-‘আমার জীবনে বহু কিছু ছিলো যা নিয়ে আমি প্রথমে ভয় পেতাম। কিন্তু সে কাজগুলো করতে গিয়ে আমি সবসময়ই ভান করতাম যে, আমি আদৌ ভীত নই। ভান করতে করতেই আমার ভয় কমে যেতে লাগলো। আমার এখন কোনো কিছু নিয়েই ভয় নেই। ইচ্ছে করলে বেশিরভাগ মানুষের জীবনেই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে’।প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের জীবনে যেটা সত্যি আপনার জীবনেও তা সত্যি হতে পারে। ভয়কে জয় করার জন্যে আপনি একই পন্থা অবলম্বন করুন। জোর করে ভান করুন যে, আপনি ভয় পান নি। আপনি বোঝার আগেই দেখবেন যে, ভানটাই সত্যে পরিণত হয়েছে। 

আসলে আমাদের অধিকাংশের জীবনে ভয় হচ্ছে ভবিষ্যতের কাল্পনিক বিপদ নিয়ে। ভবিষ্যতে কী বিপদ হতে পারে, কী ঝামেলা হতে পারে ইত্যাদি। ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা নিয়ে আপনি আপনার বর্তমানের সুন্দর সময়গুলোকে নষ্ট করছেন। আপনি আগামীকালকে যত বেশি ভয় পাবেন, ততই আপনি আজকের দিনটিকে কাজে লাগাতে ও উপভোগ করতে ব্যর্থ হবেন। বর্তমানকে পুরোপুরি কাজে লাগান, বর্তমান নিয়ে আপনি ব্যস্ত থাকুন, ভবিষ্যৎ নিজেই নিজের যত্ন নেবে। জীবনকে, জীবনের গতিকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বর্তমানকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগান, উপভোগ করুন। কারণ আপনার জীবনে বর্তমান আর দ্বিতীয়বার ফিরে আসবে না।